ভাইস চেয়ারম্যান যিনি, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও তিনি!

ডেস্ক রিপোর্ট – চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আজ রোববার প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন আবুল বাশার। অথচ সপ্তাহ খানিক আগে হয়ে যাওয়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেই ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি! এই ঘটনা ঘটেছে ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। তথ্য গোপন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করায় দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে আটক করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার ঘোষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কালাম।

আটককৃত আবুল বাশার ধামরাইয়ের আমসিমুর সেপিপ মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই সুবাদে আজ উপজেলা নির্বাচনে কান্দাপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। কিন্তু গত ২৪ মার্চের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে দাঁড়িয়ে একই জেলার সাটুরিয়া উপজেলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গেছেন তিনি! এই তথ্য গোপন করার দায়ে তাঁকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এ ছাড়াও আবুল বাশার যে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন, সেই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতাও পাওয়া গেছে। দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে যেখানে গড়ে ২% থেকে ১০% পর্যন্ত ভোট পড়েছে, সেখানে ওই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে প্রায় ৪০%। কেন্দ্রের মোট ১৮৯১ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭০০ ভোটারের ভোটই দাখিল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এ ছাড়া ভোট দাখিল হয়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছু ব্যালট পেপারে ভোটারের টিপসই, সিল এসব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ভোটগ্রহণের সময় ৪ নম্বর বুথের পোলিং অফিসার দেলোয়ার হোসেনকেও কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি।

আটককৃত আবুল বাশার জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাটুরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে আটক করার পর সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুনীল কুমার ভৌমিককে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আবুল বাশারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা পরবর্তীতে জানানো হবে।